জয় বাম তারা
জয় মা তারা
কৌশিকী অমাবস্যা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি বিশেষ তিথি। এটি ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যাকে বলা হয়। এই তিথিকে তারানিশি অমাবস্যাও বলা হয়।
কৌশিকী অমাবস্যা এর তাৎপর্য:
- পৌরাণিক কাহিনী:
- দেবী কৌশিকী, যিনি দেবী চণ্ডীর এক রূপ, এই তিথিতে শুম্ভ-নিশুম্ভ দানব দুটিকে বধ করেছিলেন।
- অন্যদিকে, এই তিথিতে মহাভারতের যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।
- ধর্মীয় বিশ্বাস:
- এই তিথিতে পিতৃপুরুষদের স্মরণে তর্পণ করা হয়।
- কৌশিকী দেবীর পূজা করা হয়।
- কিছু মানুষ বিশ্বাস করে যে এই তিথিতে দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- তন্ত্র সাধনা:
- এই অমাবস্যা তিথিকে তন্ত্র সাধনার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।
- এই তিথিতে অনেকে সিদ্ধিলাভের জন্য বিশেষ পূজা ও রীতিনীতি পালন করেন।
উল্লেখ্য:
- এই অমাবস্যার রীতিনীতি ও পূজা স্থানভেদে ভিন্ন হতে পারে।
- কোন বিশেষ পূজা বা রীতিনীতি পালনের পূর্বে একজন জ্ঞানী ব্যক্তির পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যা
এই অমাবস্যায় তারাপীঠ শ্মশানে চলে তন্ত্রমন্ত্রের বিশেষ যোগ্য। বৌদ্ধ ও হিন্দু তন্ত্রে এই দিনের এক বিশেষ মাহাত্ম্য আছে। তন্ত্র মতে, এই রাতকে ‘তারা রাত্রি’ও বলা হয়। এক বিশেষ মুহূর্তে স্বর্গ ও নরক দুইয়ের দরজা মুহূর্তের জন্য খোলে ও সাধক নিজের ইচ্ছা মতো ধনাত্মক অথবা ঋণাত্মক শক্তি সাধনার মধ্যে আত্মস্থ করেন ও সিদ্ধিলাভ করেন।
এই অমাবস্যা নিয়ে বিশ্বাস
বিশ্বাস অনুযায়ী, এই অমাবস্যা তিথিতে বিশেষ পুজোয় অংশগ্রহণ করে দ্বারকা নদীতে স্নান করলে জীবনের সব পাপ থেকে মুক্তি মেলে। এদিন সঠিক উপায়ে তন্ত্রক্রিয়া সম্পন্ন করলে, জীবনের সমস্ত বাঁধা বিপত্তি কেটে যায়, সহজে। ফি বছর হাজার হাজার ভক্তেরা এই অমাবস্যার দিন ছুটে যান তারাপীঠ মন্দিরে।